ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল ও লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত জনগণকে সঙ্গে নিয়ে করার দাবি জানিয়েছে ৯টি বামপন্থি সংগঠন।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে ৯টি বামপন্থি সংগঠনের নেতারা ওই দাবি জানান।
৯টি সংগঠন হলো- বাসদ (মার্কসবাদী, কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরাম), জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় গণফ্রন্ট, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, বাসদ (মাহবুব) ও কমিউনিস্ট ইউনিয়ন।
সমাবেশে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত ও বিচার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি ছাড়াও খুলনার পাটকল আন্দোলনের নেতা রহুল আমিনের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।
সমাবেশে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করছে। লেখক মুশতাক আহমেদ কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন যাকে রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড বলে আমরা মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এতটাই উন্নয়ন চলছে যে মত প্রকাশে বাধা দেয়া হচ্ছে। খুলনায় পাটকল নেতা রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে সরকার। সরকারকে পরিষ্কার বলতে চাই, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর তদন্ত করতে হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে।’
বাসদ মাহবুবের কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালিয়ে কেউ বেশি দিন টিকতে পারবেন না, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।
নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন বলেন, ‘মিল শ্রমিকরা যখন কর্মহীন, তখন আপনারা মেট্রোরেল পথের উন্নয়ন দেখাচ্ছেন।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে জনগণকে শোষণ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গণমুক্তি ইউনিয়নের নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আজকে শুধু লেখার কারণে, মত প্রকাশ করার কারণে লোকজনকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে লেখক মুশতাক আহমেদকে খুন করা হয়েছে।’
সরকার আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।